এখনই যদি পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হয়, তাহলে আগের থেকে আসন সংখ্যা বাড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হল সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে'র 'মুড অফ দ্য নেশন' সমীক্ষায়। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনই যদি পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন হয়, তাহলে ৩০টি আসন পাবে তৃণমূল। যে সংখ্যাটা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ছিল ২৯। অর্থাৎ একটা আসন বাড়বে। বিজেপির ভাগ্যের অবশ্য কোনও পরিবর্তন হবে না। মাসকয়েক আগে যেমন ১২টি আসন মিলেছিল, এখনও সেটাই হবে। তবে মুছে যাবে কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি যে আসন জুটেছিল, সেটাও মিলবে না। অর্থাৎ বামেদের মতোই ‘শূন্য’-র সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ‘সখ্যতা’ হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গে।
‘যতই নাড়াও কলকাঠি, নবান্নে ফের হাওয়াই চটি’
আর সেই সমীক্ষার ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, সেটা আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের ছাঁচে ফেলেও বিচার করেছেন। দেবাংশু বলেছেন, ‘(ওই সমীক্ষা অনুযায়ী) বাংলায় এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন হলে আরও একটি আসন বাড়িয়ে তৃণমূল ছুঁয়ে ফেলতে পারে ৩০-র গণ্ডি! লোকসভার প্রেক্ষিতে এই সংখ্যা হওয়া মানে বিধানসভার নিরিখে এই সংখ্যাটা ২৯৪-র মধ্যে অনায়াসে ২২০ পেরিয়ে যাবে। যা গতবার ছিল ২১৫। অর্থাৎ? যতই নাড়াও কলকাঠি, নবান্নে ফের হাওয়াই চটি!’
সেইসঙ্গে দেবাংশু দাবি করেছেন, ওই সমীক্ষায় যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিজেপি ও বামেদের মদতে যে তথাকথিত 'আরজি কর আন্দোলন' হয়েছিল, তারপরেও তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত আছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ যে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন, সেটা হাইজ্যাক করে নিয়েছিল বিজেপি ও বামেরা। তারপরও তৃণমূলকে টলানো যায়নি বলে দাবি করেছেন দেবাংশু।
কংগ্রেসকে খোঁচা দেবাংশুর
তাঁর কথায়, ‘(ওই সমীক্ষা অনুযায়ী আজই লোকসভা নির্বাচন হলে) নিজেদের জেতা একমাত্র আসনেও হেরে যাবে কংগ্রেস। কারণ হয়ত বাংলার মানুষ ধরে ফেলেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে আরও পাঁচটি আসনে জিততে বিজেপিকে সাহায্য করেছে বিজেপি।’
'বামেদের পরিচালিত ও বিজেপির প্রয়োজিত আরজি কর আন্দোলন'
দেবাংশু আরও বলেন, 'আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা যে বামেদের পরিচালিত ও বিজেপির প্রয়োজিত আরজি কর আন্দোলনের পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক অটুট আছে। অগস্ট থেকে আমরা বলে আসছি যে মানুষের প্রতিবাদকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে রাষ্ট্র-বিরোধী শক্তি। আমরা যে দাবি করছিলাম, তাতে অবশেষে মানুষের অনুমোদন পড়ে গেল। বামেরা এখনও বড় গোল্লা হয়ে আছে।'