তৃতীয়বার বিপুল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখনও পুরসভা নির্বাচন বাকি। তার মধ্যেই জনসংযোগ কর্মসূচি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। দলে দলে বিজেপি ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এতকিছুর পরও অধরা থেকে গিয়েছে জয়নগর–মজিলপুর পুরসভা। পাঁচ বছর আগে পুরসভা নির্বাচনে এটাই হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার সেই অধরা পুরবোর্ড দখল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল বলে খবর।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শওকত মোল্লার নেতৃত্বে জয়নগর পুরবোর্ড ফিরিয়ে আনতে চলেছে তারা। তাই জয়নগরের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন শওকত। এমনকী তার রূপরেখাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে শওকত বলেন, ‘আগামী পুরবোর্ডে জেলার সব ক’টি পুরবোর্ডই দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জয়নগরেও আমরাই বোর্ড গড়ব। আশেপাশের বিধানসভা এলাকার বিধায়কদের এনে একেকটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত পুর–নির্বাচনে জয়নগর–মজিলপুর পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি আসন জিতে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস জেতে চারটি আসন। দু’টি ওয়ার্ডে এসইউসি ও একটি ওয়ার্ডে জেতেন সিপিআইএম প্রার্থী। তাঁরা নির্বাচনের পরে কংগ্রেসকেই সমর্থন করেন। পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের সুজিত সরখেল। তবে কংগ্রেসের শক্তি এখানে কমতে শুরু করেছে। সেই জায়গায় উঠে আসছে বিজেপি। যাকে প্রতিহত করতেই এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শওকতকে কেন দায়িত্বে আনা হচ্ছে? জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রের পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলেছেন এই দাপুটে নেতা। সেই সাফল্য অব্যাহত রাখতেই পুরভোটের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। জয়নগর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, ‘গত দু’টি নির্বাচনে পুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফল ভাল হয়েছে। আগামী নির্বাচনে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই চাইছেন।’