বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল সহ ১৫জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এদিকে তাদের যোগদানের জেরে জেলা পরিষদের অভ্যন্তরের সমীকরণ দ্রুত বদলাতে শুরু করে। বিজেপি দাবি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। এনিয়ে যথেষ্ট চাপে ছিল তৃণমূল। এদিকে ভোট মিটতেই হাওয়া ঘুরতে শুরু করে। এবার বিজেপি থেকে কয়েকজন সদস্য ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলের জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর জানিয়েছেন, ‘আগামী বুধবার মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হবে। নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যরা মালদহ ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে প্রস্তাব পেশ করবেন। জেলা পরিষদের ৩৭জন সদস্যের মধ্যে আমাদের সঙ্গে আছেন ২৩জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৯জন সদস্য।’ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গে বনিবনা বিশেষ ছিলনা গৌরচন্দ্র মণ্ডলের। এরপরই ভোটের আগে সুযোগ বুঝে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এদিকে অনাস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ক্ষমতা দখলে রাখবে বিজেপি।’ কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা আদৌ কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও। এদিকে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এখানে মোট আসন ৩৮টি। ভোট হয়েছিল ৩৭টি আসনে। তখন ২৯টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস পেয়েছিল ২টি আসন ও বিজেপি পেয়েছিল ৬টি আসন। সভাধিপতি হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের টিকিটে জেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তবে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কৌশল এবার কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।