দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নানা আক্রমণ করেও এক ইঞ্চি জমিতে দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। এবার সেই ছবিই ফুটে উঠল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে। এখানেই সমবায় নির্বাচনে সবুজ ঝড় বজায় থাকল ঘাসফুল শিবিরের। পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রাম, কাঁথির পর এবার ময়নাতেও ব্যাপকভাবে জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী একটি আসনও পেল না বিজেপি। অথচ লাইন দিয়ে ভোট দিলেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ভোট মিটেছিল একেবারে নির্বিঘ্নে।
ঠিক কী ঘটেছে ময়নায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, ময়না ব্লকের দক্ষিণ ময়না সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে নির্বাচন ছিল। এখানে আসন সংখ্যা ১২। তার মধ্যে একটি আসন আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ১১টি আসনে ভোট হয়েছিল শুক্রবার। এই নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল এলাকায়। তবে এই সমবায় নির্বাচনে অশান্তির বাতাবরণ দেখা যায়নি। এখানেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন স্থানীয় মাসমচক এবং দক্ষিণ ময়নার গ্রামের ৯২৮ জন বাসিন্দারা। যে নির্বাচনের ফলাফল দাঁড়ায়, ১১টি আসনের সবকটিতেই জিতলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরাই।
আর কী জানা যাচ্ছে? পূর্ব মেদিনীপুরে এখন আগের থেকে আরও শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনে এখানে সাফল্য এলেও তা সার্বিক প্রভাব ফেলেনি। কয়েকদিন আগে, তৃণমূল কংগ্রেসেরই দুটি গোষ্ঠীর আবহে নির্বাচন হয়েছিল কাঁথির বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। সেখানে অশান্তি এড়াতে কড়া পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই নির্বাচনে ৯ আসনেই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সমবায় নির্বাচনে রামনগর বিধানসভা এলাকা থেকে জয়লাভ করেছিলেন তার নতুন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, দিলীপ জানা, উত্তম জানা, সুপ্রকাশ গিরি এবং চন্দন নন্দ।
কী পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে? ইডি–সিবিআই রাজ্যে নেতা–মন্ত্রীদের গ্রেফতার করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করলেও গ্রামীণ এলাকার কাজে উপকৃত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক প্রকল্প পাচ্ছেন গ্রামের মানুষজন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই ভরসা রেখেছেন তাঁরা। যেখানে বিজেপির এতগুলি সাংসদ থাকতেও গ্রামীণ উন্নয়ন ঘটেনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হয়েছেন। আবার নন্দীগ্রামেই খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। কারণ ২২ জুলাই নির্বাচন হয়েছিল স্থানীয় বিরুলিয়া পঞ্চায়েতের সমবায় ব্যাঙ্কে। ৫২টি আসনের মধ্যে ৫১টিকে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। আর একটি আসন যায় সিপিআইএমের দখলে।