আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা তো বটেই নাগরিক সমাজও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে শাসক দল। ঠিক সেই আবহে আরও একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে দেখা গেল সবুজ ঝড়। সবকটি আসন জয় করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামের এগরার পর এবার পাঁচরোল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ১২ টি আসনের ১২টিতেই জয় পেল ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম–এগরায় সমবায় নির্বাচন ব্যাপক জয় তৃণমূল কংগ্রেসের, ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে
বুধবার সন্ধ্যায় এই সমবায় সমিতির ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় সবুজ ঝড়। এই সমবায় সমিতিতে মোট ১২ টি আসন রয়েছে। তাতে ভোটার সংখ্যা ৭৮৯ জন। ৮টি নির্বাচনী ক্ষেত্রে রয়েছে। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ জন। এর মধ্যে দুটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস আগেই বিনা প্রতিদায় জয়ী হয়েছিল। বুধবার সকালে এই সমবায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই ছিল কড়া পুলিশ নিরাপত্তা। নির্বাচন শেষ হতেই শুরু হয় গণনা। সন্ধ্যায় গণনার পর দেখা যায়, বিরোধীরা কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এদিন ফল ঘোষণার পরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় উচ্ছ্বাস। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আর সবুজ আবির উড়িয়ে জয় উদযাপন করেন তৃণমূল কর্মীরা। আরজি কর নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেও তৃণমূলের এই জয় কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জয়ের পরেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা জানান, তৃণমূল যে মানুষের সঙ্গে রয়েছে এবং লড়াইয়ের ময়দানে আছে আবার তা প্রমাণিত হল। যদিও বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে, তাদের প্রার্থীরা কেন হেরেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাছাড়া এখানে বিজেপি আগে সমবায় নির্বাচনে লড়েনি। ফলে প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা কম ছিল। আগামী দিনে সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে রবিবার এগরায় সমবায় নির্বাচন হয়েছিল। তাতেও ১২টি আসনের মধ্যে সবকটিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এছাড়া, হলদিয়া আরবান কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালন বোর্ড নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয় জয়কার দেখা গিয়েছে। সেই সমবায় সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে নন্দীগ্রাম এবং মহিষাদল বিধানসভা এলাকায় ১৫ টি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরে নির্বাচনে বাকি ১৮ টি আসনে অর্থাৎ সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। আর এবার আরও একটি সমবায় সমিতি তৃণমূলের দখলে।