ভগবানপুরের ধারা অব্যাহত রাখতে পারল না সিপিআইএম। উলটে বিজেপির সঙ্গে জোট করে দুই দলই ধরাশায়ী হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। সমবায় কৃষি উন্নয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জোট বেধেছিল বাম–বিজেপি। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের ঝেকুড়কুল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারল না এই জোট। বরং ১২টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। যা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠিক কী ঘটেছে নির্বাচনে? পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের ঝোকুড়কুল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ১২টি আসন। এখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল বাম–বিজেপি জোট বনাম তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, সোমবার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১২টি আসনের মধ্য়ে একটিতে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর ১১টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে ঘাসফুল। একটি আসনেও খাতা খুলতে পারল না বাম–বিজেপির জোট। সুতরাং ঝোকুড়কুল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেল। যা নিয়ে উল্লাস দেখা দিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে ভগবানপুরে ম্যাজিক জয় পেল সিপিআইএম। তাও সমবায় ভোটে। সেখানে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়েনি লালপার্টি। তবে হারল তৃণমূল কংগ্রেসও। ভগবানপুরের কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ের লাল পতাকা উড়ল। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সিপিআইএম একা লড়লে সাফল্য পাচ্ছে। আর বিজেপির সঙ্গে জোট করলে হারছে। সুতরাং শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে মানুষজন বলে মনে করা হচ্ছে। কলাবেড়িয়া সমবায়ে মোট ৯টি আসন। বিজেপি এখানে প্রার্থী দিতে পারেনি বলে সূত্রের খবর। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের শতাংশ বেড়েছে। তবে ৯টি আসনই গিয়েছে বামেদের কাছে। তাই চাপে পড়ে গেল বিজেপি।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? অন্যদিকে পঞ্চায়েত সভাপতি সুরজিৎ মান্না তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে বলেন, ‘এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল। শুধু একবার পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে নেওয়া হল। সিপিআইএম–বিজেপি মাইক ধরলে একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলে, আর নির্বাচন এলেই তারা একজোট হয়ে যায়। এদেরকে প্রতিরোধ করতেই আমাদের একজোট হতে হবে। তার প্রমাণ আমরা দেখিয়ে দিলাম। এই সমবায়ে যতজন রয়েছেন, তারা সকলেই আর একবার দেখিয়ে দিলেন যে সকলে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন। আমরা প্রত্যাশিত জয় পেয়েছি। এখানে রাম–বাম জোট চলবে না।’