বড় নির্বাচন থেকে ছোট নির্বাচন। কোনও নির্বাচনেই জিততে পারছে না বিজেপি। একুশের নির্বাচন থেকে হার শুরু হয়েছে। যা সমবায় নির্বাচনেও অব্যাহত আছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে হেরেছে বিজেপি। এবার হলদিয়ার সমবায় নির্বাচনেও বিজেপিকে পরাস্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে বিরোধীশূন্য বোর্ড গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার হলদিয়া ব্লকের বাঁশখানা সত্যনারায়ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা করল ঘাসফুল শিবির।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে জবদা সমবায় সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। আর বিরোধীরা একটি আসনেও মনোনয়ন পেশ করার প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তাই বোর্ড গড়ছে রাজ্যের শাসকদল। হলদিয়ার বাঁশখানা সত্যনারায়ণ সমবায়ে মোট আসন সংখ্যা ১২। সেখানে আগেই দুটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল। তারপর ১০টি আসনে নির্বাচন হয়। সেখানে মোট ভোটার ৭১০ জন। যদিও বিরোধীরা গোহারা হেরেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা ১০টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে তিন রাউন্ড গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে বিরোধীরা একজোট হয়ে লড়েছিল। আর ন’টি আসনেই জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিরোধীরা খাতা খুলতেই পারল না। বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁদের ভোট দানে বাধা দেওয়া হয়েছে। যদি এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। এই পর পর পরাজয় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই পর পর সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় এবং বিজেপির পরাজয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে সমবায় নির্বাচনে গুলি চালিয়ে যাঁরা প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাঁরা চাইছেন গন্ডগোল হোক। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন কোনওরকম গন্ডগোল না করতে। মানুষের ভোটে জিতে আসতে হবে। যারা এই অঘটন ঘটিয়ে নেতিবাচক খবর সামনে আনতে চায়, তারাই বোমা–বন্দুকের ব্যবহার করছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে জিততে অশান্তি করার দরকার পড়ে না।’