উনি যেতে পারলে আমি যেতে পারব না কেন! এই মেজাজ নিয়েই দলকে কিছু না জানিয়ে বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের এক তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘আমাদের কিছু না জানিয়েই ওই জেলা পরিষদ সদস্যা সোনাই মুখোপাধ্যায় বিভীষণবাবুর বাড়ি গিয়েছেন। বিষয়টি আমরা ভালভাবে নিইনি।’
বাঁকুড়া ১ ব্লকের চতুর্ডিহি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণবাবুর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন শাহ। তাঁর কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই বিভীষণবাবুকে দলে যোগ দিতে তৃণমূল চাপ দেবে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, শুক্রবার সোনাইদেবী বিভীষণবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দেন। তাঁদের পরিবারের সমস্যার কথাও জানতে চান তিনি।
এদিকে দলের অন্দরে বিরোধ বাঁধলেও সোনাইদেবী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছিলাম, বিভীষণবাবুর পরিবারে কিছু সমস্যা রয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের দলের আদর্শ। তবে আমি দলের কয়েকজন নেতাকে জানিয়েই গিয়েছিলাম।’
অন্য দিকে বিজেপি’র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কটাক্ষ, ‘বিভীষণবাবুর বাড়িতে অমিত শাহজি যাওয়ার পরই ওই তৃণমূল নেত্রী তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েছেন। আসলে তৃণমূল যা করে, সবই ভোটের স্বার্থে।’