এবার তৃণমূল কর্মীদের হাতে অত্যাচারিত হয়ে ঘরছাড়ার অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই এক কর্মী। ঘরছাড়া হয়ে এখন এলাকার একটি গোয়ালঘরেই আশ্রয় নিয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনাটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে চাঁচলের এসডিপিও–এর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তৃণমূল কর্মী। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে তৃণমূল কর্মী টুম্পা খাতুন ও তাঁর স্বামী নুর মহম্মদের সঙ্গে এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মীদের বিবাদ বাধে। ১২ কাঠা জমি নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ। ভোট মিটতেই এই বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। ভোটের সময়ে দুই পক্ষই তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল কর্মী টুম্পা খাতুনের অভিযোগ, তাঁদের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। টাকা পয়সা ও গয়নাও লুঠ করে নেওয়া হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে। এই ঘটনায় জিন্নাতুল্লা, কোলেন আলি, গুলজার, তারিফ-সহ ২০ থেকে ২৫ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের কাছে এই ঘটনার খবর পৌঁছালেও এখনও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। এই বিষয়ে চাঁচলের এসডিপিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন টুম্পা। দোষীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, সেই আবেদনই তিনি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মানিক দাস জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করবেন। সত্যিই যদি এই সব ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান, শুনলাম তে তৃণমূলের মধ্যেই নাকি মারপিট হচ্ছে। সবাই বলেছিল বিজেপি সন্ত্রাস করছে। বিজেপি তো এখন ক্ষমতায় নেই। এখন সাধারণ মানুষ বুঝুক তাঁরা কী ভুল করেছেন?