তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে ভোজালি দিয়ে ডান হাতে কোপও বসায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির ১০ নম্বর ব্লকের কামারপাড়া এলাকায়। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম উত্তম দাস। উত্তমের বয়ান অনুযায়ী, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর হাত, পা গামছা দিয়ে বেঁধে টাকা চায় তারা। টাকা দিতে না চাইলে ডান হাতের ওপর ভোজালির কোপ বসিয়ে দেয়। বার বার হুমকি দিতে থাকে, টাকা না দিলে প্রাণে মেরে দেবে। তখন অগত্যা নিজের প্রাণ বাঁচাতে ট্রাঙ্কের মধ্যে থাকা টাকা নিয়ে নিতে বলেন উত্তম। এরপর দুষ্কৃতীরা তাঁর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে ও ট্রাঙ্কের ভিতরে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। উত্তম জানান, ‘ক্যালেন্ডারের পিছনেও কিছু টাকা আমি রেখেছিলাম। সেই টাকাও নিয়ে নিয়েছে। কারা এই লুঠ করল, তা জানি না। কারণ, অন্ধকারে কারও মুখই দেখতে পাইনি।’
জানা যায়, সারারাত আহত অবস্থায় ঘরের মধ্যেই পড়েছিলেন উত্তম। সকালে ভাইপো সুদীপ দাস এসে তাঁকে উদ্ধার করে ও তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার ডিএসপি বিক্রমজিৎ লামা উত্তরবাবুর বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। ২ জন ডাকাত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে পুলিশ এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত নিশ্চিত নয়।