কোচবিহারে দুষ্কৃতীর হাতে নিহত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম বক্কস মিঞা (৫০)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের দেওরহাটে। এই ঘটনায় কায়ুম আলি নামে এক তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বক্কস মিঞা যথন তাঁর সঙ্গী কায়ুমকে সঙ্গে করে ফিরছিলেন, তখন হঠাৎ তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে বক্কসের মৃত্যু হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় বক্কসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান, একেবারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্যই এই খুন করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এলাকায় পরিচিত মুখ ছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিলেন। আমি যখন গত বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলাম, তখন আমার হয়ে ওঁরা কাজ করেছিবেন।’ পাশাপাশি তিনি জানান, এই খুনের পিছনে যাঁরা জড়িত, তাঁদের কেউ বামফ্রন্ট করেন, কেউ আবার বিজেপি করেন। তাঁরা কেউ তৃণমূলের জন্য কোনও কাজ করেনি। গত বিধানসভা ভোটের সময়ে ওঁরা হিন্দুদের কাছে গিয়ে বলতেন, বিজেপিকে ভোট দিতে আর মুসলিমদের কাছে গিয়ে বলতেন বামফ্রন্টকে ভোট দিতে। এই খুনের পিছনে বিজেপির সরাসরি ইন্ধন আছে। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।' এই প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই খুনের পিছনে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। একেবারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুষ্কৃতীদের দিয়ে খুন করানো হয়েছে।