সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর দেহ উদ্ধার হল সোনারপুর এলাকা থেকে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। কাজের সূত্রে তিনি সোনারপুরে এসেছিলেন। আজ, রবিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যদিও এটা আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। এই ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা? সেটা খোলসা করে কিছু জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। তাঁর রক্তাক্ত অবস্থায় থাকা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ এদিন উদ্ধার করা হয়। এই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীর নাম কৃষ্ণপদ মণ্ডল (২৮)। গ্রামে সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের কাছে রাধাগোবিন্দপুর গ্রামে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণপদ মণ্ডল পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল তিনি একটি কাজের সন্ধান পান। কৃষ্ণপদকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে কাজ দেওয়ার নাম করে প্রণব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আর তারপরই শনিবার সোনারপুরের রাধাগোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়িতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই ঘটনার পর সেই বাড়ির মালিক মৃদুল রায় কৃষ্ণপদ মণ্ডলের পরিবারকে কোনও খবর দেননি। আর এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
পরিবারের ঠিক কী অভিযোগ? মৃত তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণপদ মণ্ডলের স্ত্রী অনিতা মণ্ডল এবং তাঁর বাবা শঙ্কর মণ্ডলের দাবি, কৃষ্ণপদকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে আসল অপরাধীদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর গ্রাম পঞ্চায়েতের আর এক তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য মণিকা রায় বলেন, ‘যে বাড়িতে কৃষ্ণপদ ভাড়া থাকত, সেখানকার মালিক মৃদুলবাবু আমায় ফোন করে বলেন, ওঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেখানের ঘরে ভাত ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে। তাহলে কি মারধর করার সময়ই ভাত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি পুরোটাই সাজানো? কেন আত্মহত্যা করল কৃষ্ণপদ? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।