পঞ্চায়েত ভোট ছিল না মঙ্গলবার তবে দিনহাটায় এদিন সেই পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের ছবি ফিরল ।সেটাও আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে। বলা ভালো সন্ত্রাসের পুরানো ছন্দে ফিরল দিনহাটা। দেখিয়ে দিল শক্তি। কার্যত উড়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যায়ের যাবতীয় আবেদন, হুঁশিয়ারি।
কাদের প্রার্থী পদে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা নিয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য় গোপন ব্যালটে ভোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অভিষেক। আর সেই ভোটেই ধুন্ধুমার। সিতাইয়ের গোসানিমারিতে সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট বক্স লুঠ হয়ে গেল এদিন। ভাঙচুর,লুঠপাট বাদ থাকল না কিছুতেই। তবে অনেকেই বলছেন ভোট হবে আর দিনহাটায় সন্ত্রাস হবে না এটা কী করে হয়?
তবে গোটা ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা। আর মূল অনুষ্ঠানেই এই বিপত্তি! শীতলকুচির সভা থেকে এই ব্যালট অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক।
অভিষেক মঞ্চ থেকে বলেন, আমি শুনলাম সিতাইয়ের গোসানিমারিতে আমি সভা শেষ করার পরে আমার সভামঞ্চে ব্যালট বাক্স রাখা ছিল। সেখানে কিছু মানুষ অতি উৎসাহিত হয়ে ভোট দিয়ে গিয়ে ব্যালট বাক্স প্রায় ভেঙে ফেলেছেন। আগামিকাল গোসানিমারির মাঠেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবার মতামত নেওয়া হবে। বিকেলে সেই রিপোর্ট আমিই দেখব। তিনি বলেন, আমি জানি কোথায় কে কী করতে পারে। যদি কেউ মনে করে গায়ের জোরে ব্যালট বাক্স ভেঙে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে আগামী দিনে দলের থেকে প্রার্থী আদায় করব। তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এই কারণেই তৃণমূলের নব জোয়ার শুরু করেছি। আর কোন অঞ্চলে কারা দায়িত্বে ছিল যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা আছে।
তিনি বলেন, কারোর প্রভাব, কারও গা জোয়ারি, কারও দাদাগিরি চলবে না। প্রার্থী সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন।
এদিকে মাথাভাঙাতেও এদিন ভোটকে কেন্দ্র করে তুমুল গন্ডগোল হয়।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম দিনেই ছন্দপতন নবজোয়ারে। দিনহাটায় বিগত দিনে মাদার যুবর দ্বন্দ্বে বহু রক্ত ঝড়েছে। এখনও দলের দ্বন্দ্ব থেকেই গিয়েছে। দলের টিকিট না পেলে দিনহাটায় কী হতে পারে তা ভালোই জানে কোচবিহার জেলা তৃণমূল। সেকারণেই এদিনের ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই।
অন্য়দিকে বিগত দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন আমি আপনাদের পাহারাদার। তবে কি এবার তৃণমূলে নতুন পাহারাদারের অভিষেক হল?