স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক। শুধু তাই নয়, তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। ঘোকসাডাঙা স্টেশন চত্বরে বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: পুজো দিতে গিয়ে শীতলকুচিতে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি বিধায়ক, উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান
জানা যাচ্ছে, বিধায়ক স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন। স্টেশন থেকে বের হতেই হঠাৎই একদল তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করেন। অভিযোগ, এরপর শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে বিধায়কের দেহরক্ষী ও চালক নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই শুরু হয় ঢিল ছোড়া। তাতে বিধায়কের গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। বিধায়কের অভিযোগ, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাঁকে ঘিরে গালিগালাজ করা হয়, গাড়ি থেকে টেনে নামাতে চায় অভিযুক্তরা। এমনকী দেহরক্ষীদেরও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁর কথায়, তৃণমূল এখন গায়ের জোরে রাজনীতি চালাতে চাইছে, কিন্তু মানুষ এসব সহ্য করবে না।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মনের বক্তব্য, তৃণমূল কর্মীরা শহিদ দিবসে যোগ দিতে স্টেশনে গিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষ বিধায়কের কাছে প্রশ্ন তুলতেই তিনি তাঁর দেহরক্ষী ও চালককে দিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন। তৃণমূলের চারজন কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসারত রয়েছেন। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, সুশীলবাবু জনসংযোগ করতে গিয়েছিলেন। অথচ তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ঘিরে ধরে হামলা চালিয়েছে। গণতন্ত্রে এভাবে বিরোধী বিধায়কের উপর চড়াও হওয়া লজ্জাজনক।
এদিকে, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের পাল্টা জবাব, বিধায়ক কাজ না করলে জনগণ তো প্রশ্ন তুলবেই। সেটা শুনে যদি দেহরক্ষীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বোঝা যায় তিনি কতটা দায়বদ্ধ মানুষের প্রতি। ঘোকসাডাঙা থানায় দুই পক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান খতিয়ে দেখে তদন্ত এগোচ্ছে।