মাওবাদী আতঙ্কে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বিধায়ককে। ক্ষোভে দলীয় বিধায়কের কার্যালয়ের সাইন বোর্ডে রং লেপে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ওদিকে টিপ্পনি কাটছে বিজেপি।
বাঁকুড়ার সিমলিপালের মানুষের দাবি, বেশকিছুদিন ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীকে পরিষেবা দিতে সিমলিপালে বিধায়কের একটি অফিস খুলেছিলেন দলের কর্মীরা। সেখানে মাঝেমাঝেই বসতেন বিধায়ক। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গলমহলে মাওবাদী সতর্কতা জারি হওয়ার পর বিধায়কের আর দেখা নেই। ওদিকে পরিষেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গাঁ গঞ্জের গরিব মানুষ টাকা খরচ করে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কার্যালয়ে এসে জানতে পারছেন বিধায়ক নেই। এতে তাদের ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। এই সব ঝঞ্ঝাট থেকে বাঁচতে বিধায়ক অফিসের সাইন বোর্ডে সাদা রং করে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরাই।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানালেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিধায়ককে সিমলিপালে দেখা যাচ্ছে না। উনি বাঁকুড়াতেই রয়েছেন। পরিষেবা নিতে সেখানে যেতে হচ্ছে সিমলিপালের বাসিন্দাদের। ওদিকে সাধারণ মানুষ বিধায়ক কার্যালয়ে এসে ফিরে যাচ্ছেন। যাতে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আর তার জেরে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে আমাদের ওপর। তাই বিধায়ক ফের এখানে আসা না পর্যন্ত তাঁর যে অস্থায়ী কার্যালয় ছিল তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমি সিমলিপাল যেতে পারিনি সেকথা ঠিক, কিন্তু তাতে মানুষের পরিষেবা ব্যহত হয়নি। যারা কার্যালয়টি বানিয়েছিল তারাই বন্ধ করে দিয়েছে।
ওদিকে বিজেপির দাবি, মাওবাদী আতঙ্কে জঙ্গমহলে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। যার ফলে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। নিজের দলের সরকারের পুলিশের ওপরেই ভরসা নেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের। তাহলে সাধারণ মানুষের ভরসা থাকবে কী করে?