পুরভোটেও কি প্রার্থী বদলের দাবিতে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলের একই ছবি দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী? ৪ পুরসভায় দলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। এমনকী আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করতেও পিছপা হচ্ছেন না তৃণমূল কর্মীরা। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ দলীয় নেতৃত্বের।
রাজ্যে ৪ পুরনিগমে মনোনয়ন পেশের জন্য হাতে রয়েছে আর মাত্র ২টো দিন। তার আগে প্রায় সর্বত্র তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ। আসানসোলে টিকিট পাননি প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরা ৪০ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর। চলতি বছর কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই এক ব্যক্তিকে করোনার টিকা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তবস্সুম আরা। একের পর এক প্রাক্তন কাউন্সিলর বাদ পড়ায় ক্ষোভ জমেছে তৃণমূলের একাংশে। প্রকাশ্যে সেকথা বলতে পিছ পা হচ্ছেন না তাঁরা।
বিক্ষোভ রোখা যায়নি শিলিগুড়িতে। সেখানে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। ওই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী স্থানীয় বিধায়ক শংকর ঘোষ। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, দলের তরফে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে সেই প্রতুল চক্রবর্তী গতবার শংকরবাবুর কাছে হেরেছিলেন। তাই তাঁকে আর প্রার্থী করা চলবে না। প্রার্থী করতে হবে বিকাশ সরকারকে। এই দাবিতে শুক্রবার পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা।
চন্দননগরে আবার বিক্ষোভ ৬ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়ে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু প্রার্থী বদল চান দলের কর্মীরা। এই দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সীমা চৌধুরীর বদলে অন্য প্রার্থীর দাবি তুলেছেন তৃণমূল কর্মীরা। একই ভাবে চলেছে বিক্ষোভ।
বাদ যায়নি কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর পুরসভাও। সেখানেও তৃণমূলের প্রার্থী বিক্ষোভে জ্বলেছে আগুন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পিনাকী নন্দীকে বদলের দাবি তুলে সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা। তাঁদের দাবি, গণেশ রায়কে প্রার্থী করতে হবে। মনোয়ননের আগামী দিনগুলিতে তৃণমূলের এই বিক্ষোভ মহামারি হয় কি না সেটাই দেখার।