কয়েকদিন আগেই সুন্দরবনের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় এক যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও তা সরাসরি অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
ঠিক কী ঘটেছে গোসাবায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তখনই তাঁর উপর হামলা করা হয়। এই হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বড়মোল্লাখালিতে। হামলার জেরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা। এমনকী সুন্দরবন কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কেন এই হামলা হয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম হাসান মোল্লা। তিনি যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতিও। তাঁকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তিনি যখন রাধানগর–তারানগর পঞ্চায়েতে যাচ্ছিলেন তখন কয়েকজন ঘিরে ধরে বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এমনই অভিযোগ তিনি করেছেন। হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূল নেতার? এই ঘটনার বিষয়ে যুব তৃণমূল নেতা হাসান মোল্লা বলেন, ‘আমি যখন পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলাম, তখন আমাকে ঘিরে মারধর করা হয়েছে। দা দিয়ে কোপ মারতে যাচ্ছিল, প্রাণে মারার ছক করেছিল। এই কাজ বিজেপির দুষ্কৃতীরা করেছে।’ যদিও জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ মৃধা বলেন, ‘এতে কোনওভাবেই বিজেপি জড়িত নয়। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।’