ভোটে হেরেও যেন ‘বাজিগর’ তিনিই। ছাপ ফেলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ নেতাদের মনে। আসানসোল ভোট প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে দলীয় কর্মীদের সামনে ছুটতে দেখেছিল। এবার স্থায়ীভাবে নবপ্রজন্মের মনে জায়গা তৈরি করতে সফল হলেন এই তারকা প্রার্থী। শুধু ‘সায়নীকেই চাই’ এই রব তুলেছেন তৃণমূলের তরুণ প্রজন্ম। ভোটে হেরে গিয়েও কিস্তিমাত করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বুধবার রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এই দাবিতে রাস্তায় নামেন। তাঁরা আওয়াজ তোলেন, ‘উই ওয়ান্ট সায়নী’।
একুশের ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সায়নীর দলে যোগদান করায় অনেককেই চমকে গিয়েছিলেন। তাঁকে টিকিটও দেয় দল। যদিও শেষপর্যন্ত বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলের কাছে পরাজিত হয়ে যান তিনি। কিন্তু সায়নীকে কোনও প্রশাসনিক পদে বসানোর দাবি তুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
বার্নপুরের বারি ময়দান এলাকায় তাই সায়নীর হয়ে চলে প্রচার। ছাত্রনেতা পাপাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সায়নীর প্রচার ও ব্যবহার আমাদের মন কেড়েছে। আমরা মনে করছি উনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করতে পারেন। উনি নিজেও আসানসোলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। তাই আসানসোলের কোনও প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। এটাই আমরা চাইছি। শীর্ষ নেতৃত্বে কাছে বার্তা দেওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছি।’
উল্লেখ্য, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের বিরুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করেন তিনি। প্রায় ৪,৫০০ ভোটে হারতে হয়। তবে মন জয় করে নেন সায়নী। লোকসভার নিরিখে দেখলে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রতে ৫০,০০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সেখানে জোর টক্কর দেন সায়নী।