পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে জেলায়। গতকাল কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। তার আগের রাতে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে তৃণমূল কংগ্রেসের চারজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এবার সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিল তমলুকে। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল তৃণমূল–বিজেপির মধ্যে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে তমলুকে? স্থানীয় সূত্রে খবর, সমবায় নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম–বিজেপি জোটের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আজ, রবিবার তমলুকের খারুই–গঠরা সমবায় সমিতির নির্বাচন। এই নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। এই সমবায়ে মোট আসন ৪৩টি। ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার নন্দকুমার এবং মহিষাদলের মতো হাত ধরাধরি করে প্রার্থী দিয়েছে বাম–বিজেপি শিবির। কিন্তু এখানে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পরস্পরের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে মারামারি হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, রবিবার তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গঠরাতে সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে জোট বেঁধেছিল বাম–বিজেপি। তবে সিপিএম তাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৯১৩ ধারা অনুযায়ী জোটে সামিল দলীয় সদস্যদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়ে দেয়। তবে এখানের নির্বাচন নিয়েই উত্তেজনা ছড়ায়। দু’পক্ষের মধ্যে এই ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হাতাহাতি শুরু হয়। তখন ছুটে আসে পুলিশ। তবে এই সংঘর্ষের জেরে দুই শিবিরের এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি? এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বামদেব গুছাইত বলেন, ‘ওরা আমাদের মারধর করছে। আমাদের ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। স্লিপ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাইরের লোকজন এনে গণ্ডগোল করছে।’ পাল্টা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজেশ হাজরা বলেন, ‘বিজেপি ময়নার বাকচা থেকে লোক এনেছে। তাদের মুখ এলাকার কেউ চেনে না। কিন্তু আমরা স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়েই ভোট পরিচালনা করেছি। তাই ওদের কেউ যদি ভোট না দিতে পারে আমাকে বলুক। আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’