এখন পূর্ব মেদিনীপুরে দায়িত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণের জবাব দিয়ে চলেছেন। শনিবার জবাব দিয়েছেন রামনগর থেকে। এবার রবিবাসরীয় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু–কুণালের সভা হতে চলেছে। তা নিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম–২ ব্লকে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর নন্দীগ্রাম–২ ব্লকে চাটাই বৈঠকে যোগ দেবেন কুণাল ঘোষ। তবে তাঁর সঙ্গে আজ থাকবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রবিবাসরীয় নন্দীগ্রামে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটতে চলেছে নন্দীগ্রামে? গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের চাটাই বৈঠক। এমনকী নন্দীগ্রামের দুই ব্লকেই এই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠোনে চাটাই পেতে বসে মানুষের সমস্যা শুনবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কলকাতা থেকে নেতারাও আসবেন এখানে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়িয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় ঘাসফুল শিবির। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে সাফল্য।
আর কী জানা যাচ্ছে? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে জিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আসনে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম–১ ব্লকে রয়েছে ১০টি এবং ২ ব্লকে রয়েছে ৭টি পঞ্চায়েত। এই সবকটি পঞ্চায়েতে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির। তার মধ্যেই রবিবার এই দুই দলের কর্মসূচিতে জমজমাট হয়ে উঠতে পারে রাজ্য–রাজনীতি।
উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে গেলেও ফিরে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তখন শুভেন্দুর কথায় ভরসা করে ডুবেছিলেন। এখন তিনি ত্রিপুরার দায়িত্বে আছেন। আজ নন্দীগ্রামে এসে তিনি বোমা ফাটাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার চর্চার শিরোনামে এই নন্দীগ্রাম। আর ডিসেম্বরের ৩ তারিখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে সভা করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।