বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ তাই সব রাজনৈতিক দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু অভিনব প্রস্তুতি দেখা গেল নন্দীগ্রামে। যা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গেল। গরমের মধ্যে যে ভোট হবে না সেটা আগেই জানিয়েছিল নবান্ন৷ ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা তাই দেখা যাচ্ছে। এবার নন্দীগ্রামে দেখা গেল প্রার্থীর নাম ছাড়াই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি। যা নিয়ে জেলায় তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? আজ, মঙ্গলবার দেখা গেল, নন্দীগ্রাম বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় দেওয়াল লিখন হয়েছে। অথচ সেখানে প্রার্থীর নাম নেই। বাকি দলীয় প্রতীক থেকে শুরু করে ভোট দেওয়ার আবেদন সবই রয়েছে। কোন চিহ্নতে ভোট দিতে হবে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম সবসময়ই সংবাদ শিরোনামে থাকা জায়গার নাম৷ জমি আন্দোলন থেকে শুরু করে একুশের বিধানসভা নির্বাচন— নন্দীগ্রাম ছিল শীর্ষে। এখন আবার এমন চিত্র সামনে আসায় চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সময় নষ্ট করতে চাইছে না যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল। তাই নাম না লিখে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি শুরু করে দিয়েছে দেওয়াল লিখন৷ নিজেদের দলীয় চিহ্ন–সহ স্লোগান লিখে দেওয়াল দখল করা শুরু করে দিয়েছে দুই দলের কর্মীরা। তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনের মতো উত্তেজনা থাকবে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও? উঠছে প্রশ্ন।
কী বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির? নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেস মদন কুমার বর্মণ বলেন, ‘দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করলাম৷ বিজেপি যতই কুৎসা অপপ্রচার করুক না কেন সরকারের উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ আমাদের ভোট দেবেন৷ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হচ্ছে৷ এইভাবে একের পর নতুন প্রকল্প নিয়ে আসবেন আমাদের দলনেত্রী৷ তাই সাধারণ মানুষ আমাদেরই ভোট দেবেন৷’ আবার তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা সাহেব দাস বলেন, ‘নন্দীগ্রাম থেকেই রাজনীতি তৈরি হয়৷ নন্দীগ্রাম থেকেই সরকার পরিবর্তন হয়৷ নন্দীগ্রামের মানুষ সচেতন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে সব রকমের প্রচার করছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে৷’