বাংলা-হিন্দি মিশিয়ে ভাষণ, বড় ‘খেলার’ সুর বেঁধে দিলেন মমতা-অভিষেক
Updated: 28 Aug 2021, 05:40 PM ISTকেন্দ্রকে আক্রমণ শানালেন মমতা
কেন্দ্রকে আক্রমণ শানালেন মমতা
অন্যান্য বছরও পালিত হয় ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এবার সেই অনুষ্ঠানের বহর আরও বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : রাজনৈতিক দলকে চাঁদা নিতে হয়। তবে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হোক। কারও চাঁদা নিতে আমার ভালো লাগে না। লজ্জা লাগে। কিন্তু আপনাদের হাজার-হাজার কোটি টাকা এল কীভাবে? ইডি করে দেখান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আমায় তো অনেকবার খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। সিপিআইএম আমলে হয়েছে। বিজেপিও করেছে। ভোটের আগে নন্দীগ্রামেও খুনের চেষ্টা করেছে। তখন যে আঘাত লেগেছিল, তা এখনও পুরো ঠিক হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : অসমে খেলা হবে, ত্রিপুরায় খেলা হবে। ২০২৪ সালে দিল্লিতেও খেলা হবে। আমরা মৃত্যু বরণের জন্য তৈরি, কিন্তু বিজেপির কাছে দেশ বিক্রি করতে দেব না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আমরা বছরে ৫০০ জনকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের উন্নয়নের কাজে নেওয়া হবে। তাঁদের ফিল্ডে পাঠানো হবে। তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। যা চাকরি জীবনে কাজে লাগবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আমরা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের কনফারেন্স ডাকতে পারি। উদ্ধব ঠাকরে এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চালানো হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : টিকার শংসাপত্রে নরেন্দ্র মোদীর ছবি লাগানো হচ্ছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্রেও কি আপনার ছবি দেওয়া থাকবে? রাজ্য যখন টিকা কিনছিল, তখন আমার ছবি দিচ্ছিল, আমি বারণ করেছি। টিকার শংসাপত্রে জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়া হোক। জাতীয় পতাকার থেকে বড় কিছু হতে পারে না।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ওঁনার লোক দিতে হবে, নাহলে ফাইলে স্বাক্ষর করবেন না। ব্ল্যাকমেল করেন রাজ্যপাল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি গণতন্ত্রের হত্যা করেছে এবং মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে, সেখানে সেখানে আমরা যাব। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব আমরা। ওরা ভাবছে যে আমাদের ভয় দেখাবে, আর আমরা বসে থাকব। ওরা ভুলে যাচ্ছে, এটা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দের মাটি।
নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : জনগণকে কবে বললেন, চোখ, কান, নাক বিক্রি করে দাও। প্ল্যাকার্ডে লিখে-লিখে মিছিল করবেন। স্টেশন বিজেপির নয়, স্টেশনটা ভারতের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোট-পরবর্তী হিংসায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিবিআই নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কেন বিজেপির লোকের সঙ্গে গ্রামে যাবে? সিবিআইকে নিজের মতো কাজ করতে দিন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বিজেপি সদস্য। আমি যখন সরকার চালাই, তখন সকলের জন্য আমি। আমি বিজেপির মতো নয়। শুধু বিজেপির জন্য কাজ করব। তৃণমূলকর্মীরা ভুল করলেও তাঁদের গ্রেফতার করেছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : পকেট থেকে ছোট্ট নেংটি ইঁদুর বের করেছে। ওই নেংটি ইঁদুর যে তোমার পকেট দিয়েছে, সেটা দেখোনি। তোমার পকেট তো ততক্ষণে কেটে দিয়েছে। একটা ইডি দেখাব, আমি ভরতি কাগজ পাঠাব, যদি কোনও পদক্ষেপ না করা হয়স, আমরাও আদালতে যান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : অমিত শাহ মনে রাখবেন, বিধানসভা ভোটের সময় তোমার যত মন্ত্রী আসানসোলে এসেছিলেন, সবাই কয়লা মাফিয়াদের হোটেলে ছিল। ইস্ট-ওয়েস্ট হোটেলে কে ছিল? তালিকা প্রকাশ করব? আমার কাছে অন্তত ১০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম আছেন, যাঁরা আসানসোলকে লুটে খেয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ১৮ কোনও বাধা মানে না। ভারতের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ শুরু করুক যুব তৃণমূল। আমি চাই যে সার ভারত তৃণমূল দাপুটে হয়ে উঠুক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আজ মেয়েরা আর বাবা-মায়ের ঘাড়ের বোঝা নয়, আজ আমরা কন্যাশ্রীরা গর্ব হয়ে উঠেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ডেউচা পাচামি গড়ে উঠছে। সেখান থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। বাংলায় শুধু শিল্প আর শিল্প হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আমাদের আমলে বাংলায় ১.৩ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৩০,০০০ শিক্ষিক নিয়োগ করা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ত্রিপুরায় শিক্ষকদের ছাঁটাই, আর বাংলায় শিক্ষকদের জন্য চাটাই। সরকারের কর্মীরা ঠিকভাবে বেতন পান না। অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ - কোথাও না।