কলকাতার মেয়ো রোডের সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের সঙ্গে তুমুল বচসা বাঁধল রেলযাত্রীদের। বাঁশ – লাঠি দিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের মারধর করালেন রেলযাত্রীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিয়ালদা শাখার শ্যামনগর স্টেশন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরপিএফ। এই ঘটনার জেরে প্রায় ২০ মিনিট রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ট্রেনের যাত্রীদের দাবি, সকাল ১০.২০ মিনিটের কল্যাণী সীমান্ত লোকালে করে মেয়ো রোডে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশে যোগদান করতে আসছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক। ট্রেনে উঠেই দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা। যার জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। ট্রেন শ্যামনগর পৌঁছতে পৌঁছতে অন্যান্য কামরায় তখন থিকথিকে ভিড়। ওদিকে গোটা একটা কামরায় দরজা বন্ধ করে বসে রয়েছেন TMCP সমর্থকরা। এই পরিস্থিতিতে দরজা খোলার জন্য কামরার ভিতরে থাকা তৃণমূল সমর্থকদের অনুরোধ করতে থাকেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা। তখন কামরার ভিতর থেকে তাদের কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরই জোর করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন যাত্রী। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি বেঁধে যায়।
আরে আমি তো জীবনে কত অ্যাওয়ার্ড ছেড়ে দিয়েছি, ওর কোনও স্পৃহা আমার নেই: মমতা
কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হন আরও কয়েকজন যাত্রী। ওদিকে এই বিবাদের মধ্যে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কর্মীরা ট্রেন দখল করে রেখেছেন এই অভিযোগে প্রায় ২০ মিনিট চলে অবরোধ। খবর পেয়ে পৌঁছয় আরপিএফ। পৌঁছন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, পর পর ৪টি ট্রেনে দরজা বন্ধ থাকায় উঠতে পারেননি তাঁরা। দরজা বন্ধ করে ট্রেনের কামরার ভিতরে মদ্যপান করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করায় ১০ - ১২ জন যাত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে তারা।
সোমনাথ শ্যাম দাবি করেন, এটা বিজেপির চক্রান্ত। আমাদের কর্মীদের সমাবেশে যোগদানে বাধা দিতে এটা করেছে।