পঞ্চায়েত অনাস্থা ঘিরে সকাল থেকে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কুলপি থানার
গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতাপুর গ্রাম। উপপ্রধানের বাড়ি থেকে পঞ্চায়েত সদস্যদের অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। প্রায় ৩০০ জনের দুষ্কৃতীদল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
অভিযোগ, কুলপি ব্লকের গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাহানুর বিবি মোল্লা পদত্যাগের দাবিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অনাস্থা আনেন উপপ্রধান রাহান হালদারসহ পাঁচজন সদস্য। অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। উপপ্রধানের অনুগামীদের অভিযোগ, তলবি সভা ডাকতে কোনও তৎপরতা দেখাননি কুলপির বিডিও থেকে এসডিও। ওদিকে অনাস্থা আনার পর থেকেই ঘরছাড়া উপপ্রধানের অনুগামীরা। রাহান হালদারের বাড়িতেই আশ্রয় নেন তাঁরা।
সোমবার সকালে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ জন বহিরাগত নিয়ে উপপ্রধানের বাড়ি থেকে সদস্যদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানের স্বামী আব্দুর রহিম মোল্লা। দুষ্কৃতীদের প্রত্যকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ। গ্রামে তাণ্ডব চালায় রহিম অনুগামীরা। এলাকায় চলে বোমাবাজি। খবর দেওয়া হয় কুলপি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে। তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। যদিও আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসি থেকে পঞ্চায়েত সদস্যরা। এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। অনাস্থা বিতর্কের অবসান না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছে এলাকাবাসী।
গাজিপুর পঞ্চায়েত বুথ সংখ্যা ১১টি । রহিম মাস্টার বনাম রাহান হালদারের লড়াই সেখানে। ৬ জন সদস্য রয়েছে উপপ্রধানের হাতে। বাকি পাঁচ সদস্য রয়েছে প্রধানের স্বামী তথা অঞ্চল সভাপতি রহিম মাস্টারের হাতে। রহিম মাস্টারের দাবি, দৌলতাবাদে বুথ কমিটি গঠন করতে গেলে উপপ্রধান অনুগামী মারধর করে। একজন রহিম মাস্টারের অনুগামী আহত হন।