একশো দিনের কাজকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের সূচনা। আর সেখান থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের অভিযোগ উঠল। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের ৯ জন জখম হয়েছে খবর পাওয়া গিয়েছে। যদি এই সংঘর্ষের ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তকমা দিতে রাজি নয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজ পাওয়া নিয়ে বাঁকুড়ার জয়পুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষেরই দাবি, তাঁরা তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর দাবি, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতি করছে তৃণমূলের অপর প্রভাবশালী গোষ্ঠী। যদিও গোটা অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। তাদের বক্তব্য, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীই সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছে। জানা গিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন জখম হয়েছে। কারও মাথা ফেটে গিয়েছে, কারও হাতে ব্যান্ডেজ করা। জখমদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
তবে গোটা বিষয়টি গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল করেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।’ গত বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের ভোটের ফল খুব আশানুরূপ হয়নি। জেলায় ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। তৃণমূল জিতেছে মাত্র ৪টি আসনে। বরজোনা, তালডাংড়া, রায়পুর, রানিবাঁধ এই ৪টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের এই খারাপ ফলের পিছনে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকেই দায়ী করা হচ্ছে। যদি প্রকাশ্যে এই ধরনের অভিযোগ মানতে রাজি নয় শাসক শিবির।