এখনও সেভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবে দূষণের মাত্রা আগের থেকে কমেছে। এই পরিস্থিতিতে চোখের সামনে ফুটে উঠল আরামদায়ক দৃশ্য। জলপাইগুড়ি থেকেই দেখা গেল ঘুমন্ত বুদ্ধের। হ্যাঁ, কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়। বেশ কয়েক বছর পর দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই আশ্চর্য দৃশ্য চাক্ষুস করতে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখলেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা। কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোরম দৃশ্য দেখে অভিভূত সকলেই। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় দিন পড়ে গেলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলাতে এখনও তাপমাত্রার পারদ নামেনি। ১৭–১৮ ডিগ্রির মধ্যেই রয়েছে তাপমাত্রা। জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় কুয়াশার চাদরও নেই। আকাশ পরিস্কার থাকার কারণে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই দৃশ্যমান হল ঘুমন্ত বুদ্ধের, কাঞ্চনজঙ্ঘা।
করোনাভাইরাসের আবহে বায়ুদূষনের মাত্রা অনেকটাই কম। তার মধ্যে হালকা রোদ উঁকি মারছে। ঠাণ্ডা একটা ভাব থাকলেও শীত পড়েনি। ফলে আকাশ পরিষ্কার। তাই সকাল থেকে দুপুর মানুষ ভিড় করলেন কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখার জন্য। প্রথমে অনেকে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। পরে কাঞ্চনজঙ্ঘা চাক্ষুস করে বিশ্বাস করলেন। শহরের বিভিন্ন ছাদ থেকে এই কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় হয়। এই দৃশ্যকে অনেকে মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করেছেন।
এখন প্রচুর পর্যটক ঘুরতে আসেন জলপাইগুড়িতে। তাঁরা বিভিন্ন নদীর ধার এবং ফাঁকা জায়গা থেকে সেই মনোরম দৃশ্য দেখতে ভিড় করেছেন আজকে। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করছেন তাঁরা। ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলায় মানুষের মন ভরে গিয়েছে। তবে আর কয়েকদিনের মধ্যেই ঠাণ্ডা পড়ে যাবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।