কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে জিটিএ নির্বাচন এবং তার ফলাফল প্রকাশ করা নিয়ে কোনও বাধা নেই। এবার রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে জিটিএ নির্বাচন। রবিবার পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন। পুরসভা নির্বাচনের পর জিটিএ নির্বাচন পাহাড়ে অত্যম্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকদিন ধরে মিটিং–মিছিল, পথসভা করে প্রস্তুতি নিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি।
কেন গুরুত্ব বাড়ছে জিটিএ নির্বাচনের? এই নির্বাচন নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তারপর ২৬ জুন ভোট ঘোষণা করা হয়। যার বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন বিমল গুরুং। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল জিএনএলএফ। নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চেয়েছিলেন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হোক। পাহাড়ে এখন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি স্তর রয়েছে। সেখানে সংশোধনী এনে জেলা পরিষদ গঠন পরে করা হতে পারে।
কেন এখন জিটিএ নির্বাচন? সূত্রের খবর, এই জিটিএ নির্বাচন করিয়ে পাহাড়ে বার্তা দিতে চায় শাসকদল। আবার পাহাড়ের পঞ্চায়েত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি রয়েছে অনেক দিন ধরে। জিটিএ নির্বাচনের পর গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই ভোট মিটিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই এখন জিটিএ নির্বাচন।
পাহাড়ের সমীকরণ কী দাঁড়াচ্ছে? এখন বিনয় তামাং যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর পাহাড়ের নতুন আঞ্চলিক দল হিসেবে উঠে এসেছে হামরো পার্টি। সেখানে জিটিএ নির্বাচন অবশ্যই এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জিটিএ নির্বাচনের প্রাক্কালে হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ড জানান, পাহাড়ে নির্বাচনে তারা একাই লড়াই করছে। আর রোশন গিরির গলায় ভিন্ন সুর। চিঠি দিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি, যাতে এখনই জিটিএ নির্বাচন না হয়।