একেই বলে ভাগ্য। বাড়ি ফেরার পথে ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের টোটো চালক। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য ভিখু শেখ।আর ফোনে লটারির টিকিট মেলার খবর পেয়েই হাত পা কার্যত ঠান্ডা হয়ে যায় ভিখু শেখের। একেবারেই মাথা কাজ করছিল না তাঁর। কী করবেন কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না। একেই বলে ভাগ্যের বিড়াম্বনা।
কিন্তু সোমবার রাতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। কাউকে কিছু জানতে দেননি। টুক করে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। এরপর গুটি গুটি হাজির হন থানায়। কিন্তু পুলিশকে গোটা ঘটনা বোঝাতেই কেটে যায় অনেকটা সময়। আসলে এতটাই আনন্দে ভাসছিলেন তিনি। গলা দিয়েও ভালো করে আওয়াজ বের হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত হরিরামপুর থানার পুলিশ বুঝতে পারেন লটারির টিকিটে ১ কোটি টাকা জিতেছেন ভিখু শেখ। তবে পুলিশ সেই রাতের জন্য থানায় তাঁকে আশ্রয় দেয়। পরের দিন টিকিট ভাঙানোর জন্য এজেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে পুলিশ।
কিন্তু কেন আচমকা থানায় আশ্রয় নিলেন ভিখু শেখ? তাঁর দাবি, কাউকে বুঝতেই দিইনি আমার কাছে কোটি টাকার লটারির টিকিট রয়েছে। সোজা থানায় চলে যাই। বাড়িতে থাকলে খুন বা অপহরণ হয়ে যেতে পারতাম।পুলিশ আমায় সাহায্য করেছে। অনেক লটারি এজেন্ট আমার বাড়িতে চলে এসেছিল। তবে পুলিশ সহায়তা করেছে। পুলিশকে মিষ্টি খাওয়াব। পুলিশ জানিয়েছে, টোটো চালক নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। আমরা সেই মতো ব্যবস্থা করেছিলাম।