শান্তিনিকেতন মানেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত নানা জায়গা। তবে এবারও শীতের বোলপুরে পর্যটকরা রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত এলাকাগুলি ঘুরে দেখছেন। খোয়াইয়ের ধারেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সোনাঝুড়ি হাটে গিয়ে কেনাকাটাও করছেন। তবে এর সঙ্গেই এবার যেন পর্যটকদের একাংশ নয়া আবদার করছেন। শান্তিনিকেতন বেড়াতে গিয়ে একাধিক পর্যটক খুঁজছেন অপার বাড়়ি। এই বাড়িতেই নাকি আসতেন বাংলার তৎকালীন দোর্দন্ডপ্রতাপ মন্ত্রী তথা বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। আর সেই বাড়িই এখন পর্যটকদের কাছে অন্য়তম দ্রষ্টব্যস্থান হয়ে উঠেছে। রবিঠাকুরের দেশে অপার বাড়ি দেখতে চাইছেন পর্যটকরা ।
আসলে ছিমছাম একটা বাড়ি। প্রান্তিকের দিকে যাওয়ার পথে বাঁদিকে রাস্তাটি নেমে গিয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে কিছুটা এগোলে ফুলডাঙা এলাকায় অপার বাড়ি। বাড়ির সামনে বড় গেট। তাতে নীল সাদার প্রলেপ। গেটের পাশে লেখা অপা। অন্য়পাশে লেখা শান্তিনিকেতন, ফুলডাঙা, প্রান্তিক। আর সেই বাড়িই দেখতে চাইছেন একাধিক পর্যটক।
বোলপুরে ঘুরতে গেলে টোটো চালকরা সাধারণত ১৬টি পয়েন্টে ঘুরে দেখান। নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে সেই প্যাকেজ। মন ভরে যায় সেই সব জায়গায় গিয়ে। তবে এর সঙ্গেই টোটো চালকদের একাধিক পর্যটক প্রশ্ন করছেন. একবার অপার বাড়িটা ঘুরিয়ে আনবেন।
তবে ওই বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একেবারেই উৎসাহ নেই টোটো চালকদের একাংশের। এক টোটো চালক জানান, একটা সময় দেখতাম ওই বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি আসত। ওই বাড়ির সঙ্গে যে মন্ত্রী জড়িয়ে রয়েছে তা জানতাম না। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও একসময়ে পরিবার নিয়ে আসতেন এই বাড়িতে। এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালিয়েছিল অপাতে। আর এখন সেই বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন পর্যটকরা।