দাওয়াইপানি। দার্জিলিং থেকে মেরেকেটে ২০ কিমি দূরত্ব। এই গ্রামের জলের নাকি ওষধি গুণ রয়েছে। আর সেই নামেই নাম দাওয়াইপানি।কথিত আছে ব্রিটিশ পিরিয়ডে এখানকার জলকে নাকি ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হত। আর সেই থেকেই এই জায়গার নাম দাওয়াইপানি।
এবার দার্জিলিং বেড়াতে গেলে একবার বেড়িয়ে আসতে পারেন দাওয়াইপানি। সেই সঙ্গে এখানকার জলও একবার পরখ করে দেখতে পারেন। সত্যি সত্যি কি এখানকার জলে দাওয়াইয়ের গুণ আছে? গোটা বিষয়টি বিতর্কসাপেক্ষ। কিন্তু এই গ্রামে এলে আপনি শারীরিক দিক থেকে তরতাজা হয়ে উঠবেন কি তা হলফ করে বলা সম্ভব নয়। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় এই গ্রামের পরিবেশ আপনাকে মানসিক দিকে থেকে চাঙা করে দেবে।
আকাশ জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ক্যানভাস। আর চারপাশে পাইনের জঙ্গল। তার মাঝ দিয়ে পাহাড়ি রাস্তা। একপাশে সবুজে সবুজ চা বাগান। দুদিন থাকলে মন ভালো হবেই।
অত্যন্ত নিরিবিলি এই গ্রাম। পাহাড়ের কোলে আর পাঁচটা গ্রাম যেমন হয় তার থেকেও যেন আরও সুন্দর।এখানে একাধিক হোমস্টে গড়ে উঠেছে। সেখানেই দুটোদিন কাটিয়ে দিতে পারেন। একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে এখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
এখান থেকে দার্জিলিং দার্জিলিং জু, টাইগার হিল যেতে পারেন। আবার এখান থেকে লামাহাট্টা, পেশক তিনচুলে, রংলিরংলিয়ট যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আর কোথাও যেতে ইচ্ছা না হলে এখানেই থেকে যান দুদিন। মন ভালো হবেই।
এনজেপি বা বাগডোগরা থেকে সরাসরি ভাড়া করা গাড়িতে দাওয়াইপানি আসা যায়। আসার পথে রূপসী পাহাড়কে আরও একবার মন থেকে দেখুন।এনজেপি থেকে দাওয়াইপানির দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি। আসলে মন খারাপের ওষুধ আছে ওই পাহাড়েই।