মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল অসমের নঙপো এলাকায়। উল্টে গেল পর্যটক বোঝাই একটি টুরিস্ট বাস। ঘটনায় এক মহিলা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, জখম হয়েছেন ১৭ জন পর্যটক। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। সকলেই হলদিয়ার দুর্গাচকের বাসিন্দা। বাসটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, পর্যটকরা শীতের আনন্দ উপভোগ করতে হলদিয়া থেকে মেঘালয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ৬৯ জন পর্যটক ছিলেন ওই বাসটিতে। বুধবার রাতে শিলং থেকে ৪০ নম্বর জাতীয় সড়কে অসমের গুয়াহাটি ফেরার পথে রি-ভোই জেলার নঙপো এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। পাহাড়ি রাস্তায় দ্রুতগতিতে বাঁক নেওয়ার ফলে বাসটি উল্টে যায় বলে পর্যটকরা জানিয়েছেন। শিশুও ছিল বাসে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই স্থানীয় থানার পুলিশ দ্রুত যাত্রীদের বাস থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। দুজন মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বাসের সমস্ত যাত্রীরাই কমবেশি মাথায়, হাতে, পায়ে এবং কোমরে চোট পেয়েছেন বলে যাত্রীদের একজন জানিয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতালে এখনও ১৭ জনের চিকিৎসা চলছে। তবে সুস্থ যাত্রীদের নিয়ে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পৌঁছেছে একটি বাস।
এই ঘটনার পরেই যাত্রীদের ফেরাতে তৎপর হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল। হলদিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রামাণিক বলেন, 'পর্যটকরা সকলেই দুর্গাচকের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।' আইএনটিটিইউসির তমলুক জেলার সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, 'এই ঘটনায় অসম এবং মেঘালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।'