ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই বছরের শেষে সৈকতনগরী দিঘায় আছড়ে পড়ল ভিড়। এই দিনটিকে আনন্দে উদযাপন করতে মানুষ এখানে ভিড় জমিয়েছেন। প্রায় সব হোটেলই বুকড। তবে এই ভিড় থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেই দিকেই নজর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকত দিঘায় উঠে এলো এমনই চিত্র। যেখান প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, মাক্স না পড়ে সমুদ্রসৈকতে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
দিঘার পাশাপাশি শংকরপুর, মন্দারমণি, তাজপুরেও ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়। এখন এখানে সব হোটেল বুক হয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর যেভাবে সেজে উঠেছে দিঘা, তা বহু পর্যটকেরই নজর কাড়ছে। বর্ষশেষে এবং নতুন বছরের শুরুতে তাই এখানকার সব হোটেল ভর্তি।’ তবে যাঁরা মাস্ক পরার নির্দেশ অমান্য করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মাইকিং করা হচ্ছে।
সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন হোটেলগুলিতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্যানিটাইজার ব্যবহার করার বিষয়ে। এমনকী যেসব পর্যটকরা সমুদ্রসৈকতে এসেছেন তাঁদের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পর্যটকরা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে আনন্দ করেন সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আজ বছর শেষে আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে দিঘার হোটেলগুলিও। বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যেভাবে ভিড় বেড়েছে সৈকতে তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিনও অনেকেই মাস্ক না পড়ে ঘুরে বেড়ান সমুদ্রসৈকতে। তাছাড়া সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে অনেককেই ডাব খেতেও দেখা যায়।