এখন টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা মানুষের মনে বিশেষ জায়গা করেছে। আর তাই বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যাও। আর তাই হেরিটেজ টয় ট্রেন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে রেলমন্ত্রক। এই নতুন পরিকলঞপনা বাস্তবায়িত করতে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে হেরিটেজ টয় ট্রেন ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে চালানোর প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত করার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনজেপিতে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম এস কে চৌধুরী সে কথা জানান। এটা হলে আরও একটা বড় কাজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে? রেল সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টয় ট্রেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই যাত্রী সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী হয়েছে। আর সেই সংখ্যাটা দেড় লক্ষেরও বেশি। এত যাত্রী পেয়ে রেলও উৎসাহিত হয়েছে। একটি অর্থবর্ষে এটিই এখন পর্যন্ত টয় ট্রেনে সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী। এটা ঘটার আগে একবছরে সর্বোচ্চ যাত্রী ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার। সুতরাং প্রতিনিয়ত যাত্রী বাড়ায় আয়ও বাড়ছে। তাই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই টয় ট্রেন ইলেক্ট্রিক এবং হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে পরিবেশের কথার পাশাপাশি জ্বালানির সমস্যার জেরেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের স্টিম, ডিজেল ইঞ্জিনের পর ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে টয় ট্রেন চালানোর ভাবনা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে টয় ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেন। দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেনকেও হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে চালানোর ভাবনা রয়েছে। তাই এবার সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিন ডিআরএম বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী এক–দু’বছরের মধ্যেই ইলেকট্রিক ও হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে টয় ট্রেন চালানো যাবে।’
ঠিক কী বলছেন ডিআরএম? এখন দেশ–বিদেশ থেকে পর্যটক দার্জিলিংয়ে আসছেন। এখন দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত হেরিটেজ টয় ট্রেনের একাধিক জয়রাইড সারা বছরই চলছে। জয় রাইডের সংখ্যাও বেড়েছে। তাতেই টয় ট্রেনে রেকর্ড আয় বেড়েছে। ২০২২–২৩ আর্থিক বছরের টয় ট্রেনে মোট ১ লক্ষ ৫৬ হাজার যাত্রী হয়েছে। আয় হয়েছে ১৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। এই বিষয়ে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম এস কে চৌধুরী বলেন, ‘হেরিটেজ টয় ট্রেন ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে চালানোর প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত করার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে।’