মেরামতি কাজের জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে রাতের দিকে বন্ধ থাকছে সাঁতরাগাছি সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার যান চলাচল করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধ থাকলে যান চলাচলে সমস্যা হবে। তাই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই পরিকল্পনা গ্রহণ করল হাওড়া সিটি পুলিশ। এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি কোন পথে ঘোরানো হবে তা নিয়ে বৈঠক করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
মেরামতির কাজ চলার সময় সাঁতরাগাছি সেতু রাতের দিকে বন্ধ থাকলেও এই সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। যে সমস্ত পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে চলাচল করে সেই গাড়িগুলিকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। কলকাতা দিক থেকে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে সাঁতরাগাছি সেতুর পরিবর্তে হাওড়া আন্দুল রোড, আলমপুর, ধুলাগড় হয়ে জাতীয় সড়কে যাবে। কলকাতার দিকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলি ধূলাগড়, আলমপুর, নিবড়া, সিসিআর সেতু, নিবেদিতা সেতু, টালা সেতু দিয়ে কলকাতায় যাবে।
এছাড়া কলকাতা থেকে হাওড়াগামী পণ্যবাহী গাড়িগুলি ডানলপ হয়ে বালি দিয়ে হাওড়ায় পৌঁছাবে। একইভাবে বর্ধমান যাওয়ার পূণ্যবাহী গাড়িগুলি নিবেদিতা সেতু হয়ে যাবে। তবে ছোট গাড়ি বা যাত্রীবাহী গাড়ি দিনের বেলায় সাঁতরাগাছি সেতুর এক দিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। দিনের বেলায় সাঁতরাগাছি সেতু খোলা থাকবে। তবে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, আন্দুল রোডে যানজট নিত্য সমস্যা। তবে সাঁতরাগাছি সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণের ফলে এই রোডের উপর চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন নিত্য যাত্রীরা। উল্লেখ্য, গাড়ি চলাচলের ভার, কম্পন, তাপমাত্রার তারতম্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই সেতুর ৪০টি ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’ বদলানো হবে। এর আগে ২০১৬ সালে এই সেতুর ২১ টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদলানো হয়েছিল। তবে এবার সেতুর দুটি লেনে ২০ টি করে ৪০ টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদলানো হবে। যার জন্য মোট ৯০ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে।