এবার জয়রামবাটিতেও চলবে ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই মানুষ অপেক্ষা করছিলেন কবে জয়রামবাটিতে পৌঁছে যাওয়া যাবে ট্রেনপথে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। এবার সারদা দেবীর জন্মস্থানে সরাসরি যাওয়া যাবে ট্রেনপথে। স্টেশন তৈরির কাজও প্রায় শেষের পথে।
এতদিন পর্যন্ত রেলপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল না। সমস্যায় পড়তেন ভক্তরা। তবে এবার আসছে সুদিন। জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে দেশ বিদেশ থেকে বহু ভক্ত আসেন। এবার সরাসরি ট্রেন পথেই যোগাযোগ করা যাবে।
জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে স্টেশন। ছোটোখাটো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এবার জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলযোগাযোগ সম্প্রসারিত করাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ভক্তরা এবার সরাসরি চলে যেতে পারবেন সারদা দেবীর জন্মস্থান জয়রামবাটিতে। এই রেলপথের অন্য়তম লক্ষ্য হল বিষ্ণুপুরের সঙ্গে তারকেশ্বরকে যুক্ত করা।
এবার জয়রামবাটির উপর দিয়েই চলবে ট্রেন। টিভি ৯ বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ২০০০-২০০১ অর্থবর্ষে বিষ্ণপুর-তারকেশ্বর রেলপথে নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০০২-২০০৩ সালে প্রস্তাবিত এই রেলপথের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। ২০০৬-০৭ সালে এই প্রকল্পের জন্য শুরু হয়েছিল জমি অধিগ্রহণের কাজ। ২০০৮-০৯ সালে রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছিল। বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথের মধ্য়ে বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ করে করা হয়েছিল। সেই পথে ট্রেন চলতে শুরু করেছিল। তারও বছর দুয়েক পরে ময়নাপুর পর্যন্ত রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়েছিল।
তবে ভবাদিঘির সমস্যার জেরে দিনের পর দিন ধরে রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা থমকে ছিল। এবার বড় গোপীনাথপুর হয়ে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কথিত আছে, বাঁকুড়ার জয়রামবাটি থেকে কলকাতায় রামকৃষ্ণদেবের কাছে একটা সময় যেতে স্ময়ং মা সারদা। ট্রেনে চড়েই সারদা দেবী যেতেন। কিন্তু সেটা সহজ কাজ ছিল না। নানা কষ্ট করতে হত সারদা দেবীকে। তারপর তিনি পৌঁছতেন। জয়রামবাটি থেকে প্রায় ৪০ কিমি তিনি গরুর গাড়িতে চেপে যেতেন। এরপর তিনি বিষ্ণুপুর স্টেশনে পৌঁছতেন। এরপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে যেতেন ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের কাছে। তবে এবার আর গরুর গাড়ি নয়। এবার জয়রামবাটিতেই চলবে ট্রেন। কিছু জটিলতা যেটা ছিল সেটা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্টেশন তৈরি, টিকিট কাউন্টার তৈরি হয়েছে। এর জেরে খুশি এলাকাবাসী। খুশি ভক্তরা।