এখনও পর্যন্ত মোট ৮.১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে শৈলেশ এবং তাঁর ভাইদের বাড়ি–গাড়ি থেকে। পাশাপাশি দুটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, বেশকিছু গয়না এবং ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২০ কোটি টাকা আছে বলে খবর। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে তা সাদা করতেন শৈলেশ। সবমিলিয়ে শৈলেশ প্রায় ৭৭ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত শৈলেশের খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। এই আবহে তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। শৈলেশের দুই ভাই অরবিন্দ এবং রোহিতের নামেও লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এর আগে শৈলেশের ভাইয়ের এক গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২ কোটিরও বেশি টাকা। এরপর গত রাতে শিবপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা নগদ। সঙ্গে ছিল কয়েক লাখ টাকার সোনা, রুপো, হীরের গয়না। মোট ৮.১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে শৈলেশ এবং তাঁর ভাইদের বাড়ি ও গাড়ি থেকে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। তাঁদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। শৈলেশ পাণ্ডের মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার। জানা গিয়েছে, গতকাল শৈলেশের ভাই রোহিত পাণ্ডের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিতে তল্লাশি শুরু করে। পরে গিয়ে গভীর রাতে তল্লাশি শেষ হয়। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়।
নরেন্দ্রপুরে ব্যাঙ্কের শাখার একটি অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতেই কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিক লোককে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন তিনি। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত কয়েকজন ওই রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানান। এরপরই ওই ব্যাংকের তরফ থেকে শৈলেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কালো টাকা সাদা করার কারবারের সঙ্গে যুক্ত শৈলেশ।