বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সুনীল সোরেন। আর সেখানে যোগ দিয়েই বিজেপির যুব মোর্চার রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক পদে বসেছেন তিনি। সুনীল ওই পদে বসতেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে তৎপর হয়েছে অরাজনৈতিক আদিবাসী সংগঠন ‘আদিবাসী গাঁওতা’।
কিন্তু কেন? সংগঠন সূত্রে খবর, সিউড়ির তিলপাড়ায় গাঁওতার অফিস থেকে সুনীলের সমস্ত জিনিসপত্র বের করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন সংগঠনের বহু সদস্য। তাঁদের দাবি, সুনীলের নতুন রাজনৈতিক জীবন সুখের হোক। কিন্তু গাঁওতা অফিসকে কোনও রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয় বানানো চলবে না।
সংগঠনের এই আচরণের পিছনে একদা ‘বন্ধু’ রবীন সোরেনের ‘ইন্ধন’ রয়েছে বলে মনে করছেন সুনীল। সরাসরি রবীনের নাম না নিলেও সুনীলের বক্তব্য, ‘আমি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতেই পারি। কিন্তু, গাঁওতাকে তার জন্য ব্যবহার করিনি। আসলে গাঁওতার অফিস দখলই মূল উদ্দেশ্য। তাই ইন্ধন দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। আদিবাসী সমাজ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অলোচনায় বসে। এক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি।'
আর রবীনের অভিযোগ, ‘যতদিন তিনি (সুনীল) গাঁওতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সব ঠিক ছিল। কিন্তু এখন তিনি ও তাঁর এক সঙ্গী অফিসটিকে বিজেপি কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করছিলেন। গাঁওতা অফিসকে এভাবে কাজে লাগানোকে ঘিরেই আপত্তি তুলেছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। সুনীল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে সদস্যরাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ‘আদিবাসী গাঁওতার’ দুই নেতা তথা রবীন ও সুনীল সোরেনের পারস্পরিক সম্পর্ক অনেকদিনই হল তলানিতে ঠেকেছিল। দু’মাস আগে একটি ভিডিয়ো ফুটেজে সুনীলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি বিজেপির দিকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। আগামীদিনে আমায় বিজেপিতে দেখলে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না থাকে, তাই সকলের সামনে কথাটা বললাম।’ এই ভিডিয়ো বার্তার পরেই ‘বন্ধু’ সম্পর্কে রবীনের মন্তব্য ছিল, ‘সুনীল বিজেপি করতে হলে করুন। কিন্তু, গাঁওতাকে ব্যবহার করা বন্ধ করুন।’ সেক্ষেত্রে এই কাজ রবীনের ইন্ধনেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাতে দুই ‘বন্ধু’-র মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।