বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ভরসন্ধ্যেবেলায় তুলে নিয়ে যাওয়া হল আদিবাসী মহিলাকে, তারপর চলল ধর্ষণ

ভরসন্ধ্যেবেলায় তুলে নিয়ে যাওয়া হল আদিবাসী মহিলাকে, তারপর চলল ধর্ষণ

আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ (প্রতীকী ছবি)

আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রামের মানুষ ক্ষেপে উঠেছেন। অবিলম্বে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি তোলা হয়েছে।

আবার আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানা এলাকা। ধর্ষণ করে তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবক। বরুনা এলাকার খালপাড় থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রামের মানুষ ক্ষেপে উঠেছেন। অবিলম্বে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‌নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হযেছে। এবং তদন্ত করা হচ্ছে।’‌ খালপাড়ে একটি ট্রাক্টরের ট্রলির নিচে আদিবাসী ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ওই মহিলার স্বামীকে তাঁর মুখে জল দিতেও দেখা যায়। তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মহিলার স্বামী জানান, রবিবার রাতে তাঁর স্ত্রীর উপর নির্যাতন করা হয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দি্য়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে সেখানে?‌ পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যেবেলায় স্বামীর সঙ্গে রাইগ্রামে বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজারে দেরি হওয়ায় রান্না করবে বলে ঘরে ফিরে আসেন স্বামী। তারপর একাই বাড়ি ফিরছিলেন মহিলা। তখন কয়েকজন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে বাড়ি না ফিরতে দেখে খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন স্বামী। তখনই পুরুনিয়া এলাকায় পুকুর পাড়ে থেকে এক মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন স্ত্রীর উপর নির্যাতন চলছে। বাধা দিতে গেলে স্বামীকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে রাতেই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। কিন্তু সেখানে নির্যাতিতা স্ত্রী বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাই খালপাড়ে স্ত্রীকে নিয়ে বসে পড়েন। সোমবার ভোররাতে কয়েকজন গ্রামবাসীর নজরে আসে দু’জন খালপাড়ে বসে রয়েছেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করতেই সব ঘটনার কথা খুলে বলেন। তখন স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে।

বন্ধ করুন