রাজনীতির ময়দানে একে অপরের বিরোধী হলেও জুয়ার আসরে তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেই জুয়ার আসর থেকেই কয়েকজন তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাকে একসঙ্গে গ্রেফতার করল পুলিশ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পার্ক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হল তন্ময় সূত্রধর, আশেকার রহমান, মৃত্যুঞ্জয় রায়, সুশান্ত রায় ও শ্যামল বর্মন। এদের মধ্যে তন্ময় বিজেপির যুব মোর্চার মেখলিগঞ্জ টাউন মণ্ডল সভাপতি, আশেকারও বিজেপি নেতা। মৃত্যুঞ্জয় ও সুশান্ত তৃণমূল নেতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জ পার্কে বেশ কয়েকদিন ধরেই জুয়ার আসর বসার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। সেই সূত্রে শুক্রবার হানা দিয়ে সেখান থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭৫০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলার রুজু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রানিরহাটে তৃণমূল কর্মী কেশবচন্দ্র বর্মনের খুনের চার্জশিটে নাম রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের। যদিও এই গ্রেফতারি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিজেপি। তবে তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লকের সহ-সভাপতি আনারুল মহম্মদ জানিয়েছেন, ‘দলের কেউ অন্যায় করলে আইন আইনের পথে চলবে। আমরা পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করি না।’
এই ধরনের অননৈতিক কাজ উচিত নয় বলে জানিয়েছেন মেখলিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কেশব দাস। তিনি বলেন, পুলিশ সক্রিয় থাকলে এরকম অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ হবে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের এক কর্মীর কথায়, ‘আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে লড়াই করি। অথচ তলায় তলায় তাদের সঙ্গে ভাব রয়েছে আমাদের নেতাদের। এটা মানা যায় না।’ একই দাবি বিজেপি কর্মীদের। তবে এই ঘটনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি বামেরা। সিপিমের মেখলিগঞ্জ ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনিরুদ্ধ ঘোষ জানান, ‘পার্কে এই ধরনের অপকর্ম নিয়ে আমরা বহুদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছি। অবশেষে আমাদের সেই অভিযোগ প্রমাণিত হল।’