গতকাল বারাণসীতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার পাল্টা মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে শিবপুর ট্রাম ডিপো থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করে তৃণমূল। দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন হাওড়া পুরসভার কাউন্সিলররাও।
মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার বুঝতে পেরেছে যে এবার তাদের পরাজয় নিশ্চিত। সেই কারণে তারা এই হামলা করেছে। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা যেভাবে অসভ্য আচরণ করেছে সেটা প্রমাণ হচ্ছে যে বিজেপি একটা ক্রিমিনালদের পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণের কথা কাল রাতে শুনেছি। তার পরে বসে থাকতে পারিনি। আজ সকালেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’ অন্যদিকে, হাওড়া পুরভোট প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যপালের স্বেচ্ছাচারীতার কারণে হাওড়ার পুরভোট আটকে গেল। তা না হলে হাওড়া পুরসভাকে বিরোধী শূন্য করে দেখিয়ে দিতাম।’
অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারের জন্য উত্তরপ্রদেশে যান মুখ্যমন্ত্রী। বারাণসী ঘাটে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলেন। পরে গাড়ি থেকে নেমেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা জয় হিন্দ ধ্বনি শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। সঙ্গে থাকা অখিলেশ যাদবের দলের কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান দেন। এই ঘটনার পরেই নিন্দার ঝড় ওঠে। জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কেন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? এই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসারের বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।