তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার দেউলা এলাকায়। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এলাকায় বোমাবাজি হয় চতুর্থীর রাতে। ঘটনায় তিন মহিলা সহ জখম মোট ৫। ঘটনার খবর পেয়ে উস্তি থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জখমদের উদ্ধার করে বাণেশ্বরপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থআনান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, বোমার আঘাতে মাথা ফেটেছে ফটিক মণ্ডল নামের এক শিক্ষকের। তিনি নিজের বাড়ির পাশের এক দোকান থেকে জিনিস কিনতে বেরিয়ে বোমাবাজির শিকার হন। সেই সময় বোমাবাজিতে আক্রান্ত হন ৩ জন মহিলাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইমরান হাসান ও জয়ন্ত চৌধুরীর মধ্যে এলাকা দখলকে ঘিরে বিবাদ দীর্ঘদিনের। এদিকে ঘটনায় মগরাহাটের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা দাবি করেন এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তাঁর দাবি, 'এই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় তৃণমূলের কোনও কর্মী সমর্থর যুক্ত নেই। পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করছে।'
এদিকে তৃণমূল বিধায়ক ঘটনার দায় এড়ালেও বিরোধী আইএসএফ শিবিরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উস্তি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।