ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত। আর এরই মধ্যে এই দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। এই দুর্ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রেলের দিকেই। সৌরভাবাবু এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ট্রেনের গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। রেলের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এর আগে রেল দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছিলেন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারই এই রেল দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। উত্তর-পূর্বের ট্রেনে পুরনো কোচ ব্যবহার করা হয় বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই যাত্রাপথে কেন অত্যাধুনিক কোচ দেওয়া হয়নি? উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের ট্রেনে অত্যাধুনিক কোচ লাগানো হয়ে থাকে। এখানেও তেমনই কোচ দেওয়া হোক। এই দুর্ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই রিপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হোক। এই ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, যাঁদের গাফিলতি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
উল্লেখ্য, গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরদিনই দোমহনিতে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের লোকো পাইলটের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছিলেন যে ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে ময়নাগুড়ির সেই অভিশপ্ত ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। ময়নাগুড়ি জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জোরে ব্রেক কষার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই আবহে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।