বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। বিধায়কসহ তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়। সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন তৃণমূল বিধায়ক। রাজগঞ্জের বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী সৌজিত সিংহের মধ্যস্থতায় মামলা তুলে নিলেন পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়।
পিঙ্কি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেন বিধায়ক। তিনি আইনজীবীর সঙ্গে নিজেই দেখা করে বিষয়টি মিটমাট করতে উদ্যোগী হন। এরপর তাদের মধ্যে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার আলোচনার পর বিষয়টির মিটমাট হয়। মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পিঙ্কি। তিনি বিধায়ক পুত্রের সঙ্গে সংসার করতে রাজি হয়েছেন। এ বিষয়ে খগেশ্বর রায় বলেন, ‘প্রতিটি পরিবারে সমস্যা থাকে। আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলে এবং পুত্রবধূ ভালভাবে সংসার করুক। আমাদের মধ্যে যা সমস্যা ছিল তার সমাধান হয়েছে। আমার পুত্রবধূ মামলা তুলে নেবে।’ এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
পিঙ্কির অভিযোগ, তাঁর স্বামী দিবাকর রায় তাঁর ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। শ্বশুর এবং শাশুড়ি তার গায়ে হাত না তুললেও তাঁরা তাদের ছেলেকে সমর্থন করে গিয়েছেন। ফলে তারাও দায়ী। গত বছরের জানুয়ারি মাসে শ্বশুর খগেশ্বর রায়, স্বামী দিবাকর রায় এবং শাশুড়ি প্রতিমা রায়ের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পিঙ্কি। কিন্তু, থানায় কোনও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। আরও বেশ কয়েকবার থানায় গিয়ে কোনও কাজ না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।
পুরো বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছিলেন পিঙ্কি রায়। তার ভিত্তিতে আগামী ১২ জুনের মধ্যে পুলিশকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। উল্লেখ্য, পিঙ্কির সঙ্গে দিবাকরের বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। অভিযোগ, তারপর থেকেই তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।