বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করতে না পারায় সেই সুনীল মণ্ডলকেই সংসদে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের বিক্ষোভে। দলবদলের কথা বেমালুম অস্বীকার করে দাবি করেছিলেন, আমি তো চিরকাল তৃণমূলের ছিলাম। এহেন সুনীল মণ্ডলকেই তাড়া করল তাঁর দল বদলের ইতিহাস। কাটোয়ায় গাজিপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বর্ধমান পূর্ব-এর সাংসদকে।
বুধবার কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের গাজিপুর পঞ্চায়েতের মালঞ্চা গ্রামে যান সুনীল মণ্ডল। সেখানে এক সেতুর নির্মাণকাজ প্রদর্শন করতে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে ব্রাহ্মণী নদীর উপরে এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও কাজ আটকে ছিল। পরে গত নভেম্বরে ফের একবার কাজ শুরু হয়ে এই সেতুর। এই আবহে সেখানে সেতু নির্মাণকাজ কতটা এগিয়েছে, তাই তদারকি করতে গিয়েছিলেন সাংসদ। তবে সেখানে গিয়ে গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন স্থানীয়রা।
সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে স্থানীয়রা, ‘চোর’, ‘বিজেপির দালাল’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলতে থাকেন। এই আবহে বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়েন সাংসদ। এদিকে দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে এহেন বিক্ষোভের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ নিজে দাবি করেছেন যে কয়েকজন মাতাল নাকি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অপরদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, যদি এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও কর্মী যুক্ত থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বপদক্ষেপ করা হবে।