এককালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। গেরুয়া শিবিরের হয়ে সাংসদও নির্বাচিত হয়েছিলেন। রামমন্দির ইস্যুতে বেশ কট্টরপন্থী অবস্থা নিয়েছিলেন। তবে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হতেই তাল কেটেছিল। দল ছেড়ে প্রথমে কংগ্রেস, পরে তৃণমূলে নাম লেখান। তিনি শত্রুঘ্ন সিনহা। বর্তমানে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত আসানসোলের সাংসদ তিনি। আর তিনিই কি না এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।
গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, তাঁর কেন্দ্রের ২৮ জন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁদের মধ্যে ৭ জনকে অর্থ সাহায্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই সব ক্ষেত্রে রোগী পিছু সাধারণ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। তবে তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে রোগীদের জন্য তিন লাখ টাকা করে পাঠান প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রসংশায় পঞ্চমুখ হন তৃণমূল সাংসদ।
আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্য নেতা ভি শিবদাসনকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী মনে রেখেছেন যে আমি দীর্ঘদিন কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’ প্রসঙ্গত, নির্বাচনী ময়দানে নেমে মোদীর নীতি থেকে শুরু করে নিজের পুরোনো দল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শত্রুঘ্ন। তবে নিজের কেন্দ্রের রোগীদের জন্য মোদীর সাহায্যের কথা স্বীকার করে সৌজন্যতাবোধ দেখিয়ে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সাংসদ।
এদিকে বিহারীবাবু জানান, আসানসোলের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় উন্নতির জন্য তিনি ভাবছেন। আসানসোলে একটি মেডিকেল কলেজ করার কথা ভেবেছেন তিনি। পাশাপাশি বড় বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন তৃণমূল সাংসদ।