রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তা সত্ত্বেও হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়েছিল বলে অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক ভিডিয়ো টুইট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কুণাল ঘোষরা দাবি করেন, রামনবমীর মিছিলে রিভলভার নিয়ে গিয়েছিলেন 'রামভক্তরা'। এই নিয়ে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, ধর্মের নামে রাজ্যকে বিভাজিত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই কাজে ইন্ধন জুগিয়েছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির। (আরও পড়ুন: রামনবমীর হিংসার রেশ শুক্রেও, অশান্তি ছড়াল হাওড়ায়, চলল ইটবৃষ্টি)
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভিডিয়ো টুইট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'বিজেপি ফের একবার দাঙ্গাবাজ ফর্মিলা নিয়ে কাজ করছে। উস্কানি দিয়ে দুই সম্প্রদায়কে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো, হিংসার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করা, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করাই বিজেপি কাজ। এবং এর থেকে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। এটা বিজেপির অনৈতিক কাজের ব্লুপ্রিন্টের নমুনা।' এদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দু'টি ভিডিয়ো টুইট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘রামনবমীতে রিভলবার! বিজেপি করছে কী!!! বাংলাকে অশান্ত করার এত চেষ্টা। এগুলোকে খুঁজে গ্রেপ্তার করা হোক।’ (আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে আদালতে যাবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা)
এদিকে গতকালকের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যারা আজকে দাঙ্গা করেছে, যতই মামলা করুক আর হামলা করুক, কোনও অজুহাত আমি শুনব না। একজন দোষ করবে সবার নামে দোষ হবে কেন? আমি দাঙ্গাকারীদের প্রশ্রয় দিই না। আমি দাঙ্গাকারীদের দেশের শত্রু মনে করি।' এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিয়তায় এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, 'রামনবমী উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে অনেক মিছিল বেরিয়েছে। তাতে বিজেপি কর্মী ছাড়াও অনেকেই স্বতস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছেন। অনেক সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছেন এই সব মিছিলে। অনেক জায়গায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও যোগ দিয়েছেন এই মিছিলে। আমার তো মনে হয় রিভলভার হাতে কাউকে তৃণমূল ঢুকিয়ে দিয়ে ছবি তুলেছে। এ ভাবে বিজেপির বদনাম করা যাবে না।'