৪৪টি আসনের সমবায় সমিতি। তার মধ্যে ৯টি আসনে নির্বাচন হল শনিবার। এদিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। যদিও ৩৫টি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা লার্জ সাইজড প্রাইমারি কোঅপারেটিভ এগ্রি ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড সমবায় সমিতির বোর্ড গঠন কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় সমবায় নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে সেখানে ক্রমেই শক্তি বাড়ছিল বিজেপির। ফলে প্রশ্ন উঠছে গেরুয়া শিবির কি সেখানে শক্তি হারাচ্ছে?
আরও পড়ুন: আবার শুভেন্দুর খাসতালুকে গোহারা বিজেপি, ভগবানপুর সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূলের
জানা যাচ্ছে, এর আগে ৪৪টি আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসনে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি বা অন্যান্য দল। ফলে ৩৫টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শুধুমাত্র ৯টি আসনের নির্বাচন হয়েছে। ফলে এদিনের নির্বাচন ছিল নিয়মরক্ষার নির্বাচন। এদিন ৯টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ১ টিতে বিজেপি ও ১ টিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এই সমবায় সমিতিতে বিজেপি মোট ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই বাগদায় বিজেপির শক্তি বাড়তে ।শুরু করেছিল। পরে ২০১৮ সালে লোকসভা এবং ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি এখানে ভালো ভোট পেয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের এখানে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তবে গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই এখানে শক্তি হারাতে থাকে বিজেপি। তারপর থেকেই এখানে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে এখানে ডহপোতায় সমবায় সমিতির ভোট হয়েছিল। এখানে বিজেপি ৬টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতে প্রার্থী দিয়েছিল এবং ভোটও হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবে। তারপরেও এখানে বিজেপি একটাও আসনে জয়ী হতে পারেনি।
বাগদার সমবায় নির্বাচনের প্রার্থী না দিতে পারার জন্য বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে। তাদের বক্তব্য, এখানে তৃণমূল তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভয় দেখিয়েছিল। সেই কারণে অনেক প্রার্থী ভোটে লড়তে পারেননি। যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।তাদের বক্তব্য, এখানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে কিছু নেই। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনেও বিজেপি সবকটি আসনে হেরেছে।