মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নিজের দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল বিধায়ক। ভাঙচুর করা হল বিধায়কের গাড়ি। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির। নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই মণ্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ফলে এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরদিঘির দামেশ বিলে মাছ ধরতে চেয়ে বহু মৎস্যজীবী বিধায়ক কানাই মণ্ডলের কাছে আবেদন জানান। মৎস্যজীবীদের আবেদনে গত সোমবার রাতে সাগরদিঘি থানায় যান কানাই মন্ডল। অভিযোগ, তিনি থানা থেকে বেরোতেই তাকে ঘিরে ধরেন বিধায়ক সুব্রত সাহার অনুগামীরা। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীও ছিল। তারা কানাই মন্ডলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। তাকে বিক্ষোভকারীরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। কোনওভাবে তিনি গাড়িতে উঠে পড়েন। বিক্ষুব্ধরা প্রশ্ন তোলেন তিনি কেন এই এলাকায় এসেছেন? এমনকি তিনি কখনও যেন সেখানে না আসেন সে বিষয়ে হুমকিও দেন বিক্ষুব্ধরা। এরপরে বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে কোনওভাবে সেখান থেকে বিধায়ককে বার করে দেয় পুলিশ ।
দুই বিধায়কের মধ্যে কেন এই বিবাদ? স্থানীয় সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীদের মধ্যে ২ গোষ্ঠী রয়েছে। যার মধ্যে এক গোষ্ঠী কানাই মণ্ডলের সমর্থক এবং অন্য গোষ্ঠী বিধায়ক সুব্রত সাহার সমর্থক। গত কয়েক বছর ধরে সাগরদিঘির ওই বিলে মাছ ধরা নিয়ে মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিবাদ চলছে। এর আগে দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে। মৎস্যজীবীদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিলে মাছ না ধরার ফলে তাদের আর্থিক সমস্যা হচ্ছিল। তাই তারা অনুমতি চেয়ে বিধায়কের দ্বারস্ত হয়েছিলেন। এ ঘটনার পর বিল চত্বরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।