আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করার অভিযোগ। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে কার্যত সংবর্ধনার ফুল ফেলে দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন রাজ্যের আদিবাসী মহিলা মন্ত্রী। খাদ্য সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে অপমান করার অভিযোগ উঠল সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে সরকারি মহলে।
শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের স্টেডিয়ামে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা ছিল মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির। কার্ডে অনুষ্ঠান সকাল ৯টায় শুরু হবে বলে জানালেও মন্ত্রীকে বেলা ১১টায় আসতে বলা হয়। সেই মতো সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে পৌঁছন জ্যোৎস্নাদেবী। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখেন, খেলা ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে। মঞ্চে উঠে বিষয়টি বুঝতে পেরেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিজের আসন ছেড়ে উঠে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে উদ্যত হন। তখন আয়োজকরা তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেসব সামগ্রী ফিরিয়ে দেন তিনি। গজ গজ করতে করতে নেমে যান মঞ্চ থেকে।
এই ঘটনায় চরম অস্বতিতে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি শ্যামল সাঁতরা ও স্থানীয় তৃণমূলি সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। বিষয়টি লঘু করার চেষ্টা করে অরূপবাবু বলেন, মন্ত্রীর সামান্য অভিমান হয়েছে। আমরা কথা বলে ঠিক করে নেব। শ্যামল সাঁতরা বলেন, মন্ত্রীকে সঠিক সময়েই আসার কথা জানানো হয়েছিল। উনি দেরি করেছেন। শিশুদের অনুষ্ঠান তো আর দেরি করা যায় না। তাই শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
ওদিকে জ্যোৎস্না মান্ডির দাবি, ডেকে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। পরিকল্পনা করে এই কাজ করেছে তৃণমূলেরই একটা অংশ।