এবার রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। প্রসঙ্গত, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট গতকালই নির্দেশ দেয়, রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে পারবে ইডি। এই আবহে রাজ্য পুলিশ অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানাতে পারে আদালতে। জানা গিয়েছে, এক তৃণমূল কর্মীর গলা টিপে ধরার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার অনুব্রতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
গতকালই দুবরাজপুর থানায় তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, শিবঠাকুর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এই সম্ভাবনার কথা শুনে অনুব্রত দুবরাজপুরের পার্টি অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠান। সেখানেই অনুব্রত তাঁর গলা টিপে ধরেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, দুবরাজপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর মণ্ডল বালিজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ছিলেন। যদিও বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা রুখতেই এই গোটা মামলা। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনুব্রত জেলে ছিলেন। সেখানে কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা দিল্লিতে না নিয়ে যেতে পারে, এর জন্য সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করে তৃণমূল নেতারা। এই আবহে মঙ্গলবার সকাল সকাল অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সংশোধানাগার থেকে বের করে আনা হয়। সকাল আটটা নাগাদ কেষ্টকে গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে দুবরাজপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা কলকাতা পুরসভার কান্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘এত বোকা বোকা খেলায় হাসি পায়। এতো খুনের মামলা বা গাঁজা মামলা দিলে তাও আটকাতে পারত। এই কেসে তো কোর্ট একটু পরেই জামিন দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। অনুব্রত মুখ খুললে শুধু অনুব্রত নয়, তার মেন্টররাও জেলে যাবে। তাই নিজেদের বাঁচাতে একটা বোকা বোকা প্রয়াস।’ এদিকে সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এরা দুর্নীতির এতটাই গভীরে পৌঁছে গিয়েছে, যে কোনও তদন্তকেই ভয় পাচ্ছে।’